‘করোসল’ অনেক দেশেই ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল হিসেবে পরিচিত।গ্রাভিওলা আম্লিক ফল হিসেবেও পরিচিত। বলা হচ্ছে- ক্যান্সার সেলের মৃত্যু ঘটাতে কেমোথেরাপির চেয়ে এটি ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, প্রসটেট ক্যান্সারে এটা বেশী কার্যকর।
গ্রাভিওলা একটি ফলের নাম। যার অন্য নাম করোসেল, সাওয়ারসপ, গুয়ানাবা, গুয়ানাভানা, ব্রাজিলিয়ান পাও পাও ইত্যাদি। এই ফলটি পৃথিবীকে আশ্চর্য করে দিয়েছে। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে এই ফলটি কেমোথেরাপির চেয়ে হাজারগুণ বেশী কাজ করে। এবং এটিতে শরীরের শক্তিও জোগাড় হয়। গ্রাভিওলা ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে বহু প্রবন্ধ, নিবন্ধ লেখা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাভিওলা গাছ দক্ষিণ আমেরিকা , কিউবা, মেক্সিকো, সেন্ট্রাল আমেরিকা, বিশেষ করে, আমাজান নদী অববাহিকায় দেখা যায়। এটি ১৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। আর এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান।
গ্রাভিওলা ফলে রয়েছে বেশ উপকারিতা। এর পাতা, বাকর, রস, বীজ ভিন্ন ভিন্ন উপকারে আসে। তবে এর বাকল ও পাতায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা। হাজার বছর ধরে লিভার সমস্যা, বাত থেকে প্যারাসাইট এর মতো রোগ নিরাময়ে ঔষধ হিসেবে গ্রাভিওলার পাতা ও বাকল খেয়ে আসছে আমাজানের বাসিন্দারা।
করোসেল গাছের পাতা, বাকল ও বীজের নির্যাসে রয়েছে আনোনাসিয়াস এসেটোজেনিন নামক এক ধরনের যৌগ, যা কিনা ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এটি ক্যান্সার কোষে শক্তি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় এবং রক্ত প্রবাহ আটকে দেয়। ফলে ক্যান্সার কোষ আর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে না। তবে এ নিয়ে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তারা গ্রাভিওলার অন্য উপকারিতার উপর বেশী জোর দিয়েছেন। তারা বলছেন, গ্রাভিওলা গোটা রোগ প্রতিরোধ বাবস্থাকে সমর্থন করে। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। অল্প বয়সে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এই ফলের নির্যাস আথ্রাইটিস পেইন, জয়েন্ট পেইন, নাকের প্রদাহ, আক্সিমা প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।