করোনা কালে বাড়ছে গুলঞ্চের কদর, ভেষজ এই পাতার উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলুন। এর জন্য আদা, তুলসী, অশ্বগন্ধা, মধুর মতো উপকরণ তো রয়েছেই, তার পাশাপাশি আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রকৃতির ভাণ্ডারে মজুত। গুলঞ্চ অথবা গিলয়।পান পাতার মতো দেখতে প্রকৃতির এই উপাদানটিকে আয়ুর্বেদে বলা হয় ‘রসায়ন’। শোনা যায়, প্রাচীনকালে একে ‘অমৃত’ হিসেবেও ব্যাখ্যা করা হত।কী কী গুণ রয়েছে এতে?
অনেকদিন ধরে চলা কাশি, হাঁপানি কিংবা অ্যাজমার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে গুলঞ্চ। অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের চিকিৎসাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গুলঞ্চ। শোনা গিয়েছে, কোভিডের (COVID-19) কিছু উপসর্গ কমাতেও সাহায্য করে তা। তবে তার কোনও নিশ্চিত প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই।
২) গুলঞ্চের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। যা শরীরের ভিতরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুকে নাশ করে। অনেকদিন ধরে যাঁদের শরীরে চোরা জ্বর থাকে তাঁদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী এই লতা। এর মধ্যে অ্যান্টিপাইরেটিক কার্যকারিতাও রয়েছে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে গুলঞ্চ দারুণ উপকারী। বিশেষ করে মেনোপজের পর। সেই সময় শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হয়। গুলঞ্চের মধ্যে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। যা এই সময় খুবই কাজে দেয়। অস্টিওপোরোসিস অর্থাৎ হাড়ের ক্ষয় রুখতেও কার্যকরী এই পাতা।
৪) গুলঞ্চের মধ্যে হাইপোলিপিডেমিক ক্ষমতা রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে এটি ডায়বিটিসে দারুণ কাজে দেয়। আবার ওজনও কমাতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং লিভারকে ভাল রাখে।
৫) মানসিক দুঃশ্চিন্তা কমায় গুলঞ্চ।ফলে যাঁরা অবসাদে ভোগেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই গুল্ম খুবই উপকারী। করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতিতে অনেকেই মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সুতরাং কঠিন এই সময়ে এই লতানো গাছটির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। যদিও উচ্চমানের কোনও ক্লিনিক্যাল প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই। কিন্তু আয়ুর্বেদে গুলঞ্চের কদর তুলসী বা অশ্বগন্ধার চাইতে কোনও অংশে কম নয়।