প্যাশন ফল / Passion Fruit




বাণিজ্যিক প্রজাতির প্যাশন ফলের উৎপত্তি হয়েছে দক্ষিণ আমিরিকার “রেইন ফরেস্ট” এর আমাজান অঞ্চলে বিশেষ করে ব্রাজিল এবং তদসংলগ্ন প্যারাগুয়ে ও উত্তর আর্জেন্টিনাতে, প্যাশন ফল একটি বহুবর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। ব্যবহারট্রপিক্যাল ও সাব-ট্রপিক্যাল দেশে এ ফল অত্যান্ত জনপ্রিয়। প্যাশন ফলের বীজকে আবৃত করে থাকা হলুদ, জিলাটিনাস, সুগন্ধিযুক্ত পাল্পকে পানিতে দ্রবীভূত করে খুবই উপাদেয় শরবত প্রস্তুত করা যায়। এটিকে অন্যান্য জুসের সাথেও মিশ্রিত করে খাওয়া যায়। পাল্পকে প্রক্রিয়াজাত করণ করে আইসক্রীম, জুস, স্কোয়াশ, জ্যাম ও জেলী তৈরি করা যায় যা আর্ন্তজাতিকভাবে সমাদৃত এবং ফ্রেশ ফল হিসাবেও খাওয়া যায়। বীজ ও খোসা হতে পেকটিন ও উচ্চ মাত্রায় লিনোলিক এসিড সমৃদ্ধ তেল আহরণ করা সম্ভব। ফলের আকার দৈর্ঘ্যে ৪-৭ সে.মি.। পাল্প ও জুসের রং হলুদ এবং টি.এস.এস. ১০-১৪%। প্রতি ১০০ গ্রাম হলুদ প্যাশন ফলে পানি ৮৪.৯%, প্রোটিন ০.৭ গ্রাম, ফ্যাট ০.২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৩.১ গ্রাম, এ্যাশ ০.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩.৮ গ্রাম, ফসফরাস ২৪.৬ মি.গ্রা., আয়রন ০.৪ মি.গ্রা., ভিটামিন-এ ২৪১০ (আই. ইউ), রিবোফোবিন ০.১ মি.গ্রা., নিয়াসিন ২.২ মি.গ্রা., ভিটামিন ২০.০ মি.গ্রা, খাদ্যশক্তি ৩৮৫.০ কিলোজুল।

No comments:

Post a Comment

লাবাং