কলকাসুন্দা ফুলের ঔষধি গুণাগুণ ও উপকারিতা

 

কলকাসুন্দার বীজগুলি তিতা স্বাদ যুক্ত হয় । এটি হুপিং কফ, মূত্রবর্ধক হিসাবে, লিভারের অসুখে ব্যবহার করা হয়। পূর্ণবয়স্ক কলকাসুন্দা সাত ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। তবে গড় উচ্চতা ভাঁটফুলের চেয়ে কিছু বেশি। পাঁচ ফুটের মতো হয়। কলকাসুন্দার কাণ্ডের রং গাঢ় সবুজ ও বেশ শক্ত। বড় কলকাসুন্দার কাণ্ডের বেড় ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। কাণ্ডের নিচের দিক থেকেই অসংখ্য ডালপালা বের হতে দেখা যায়।কলকাসুন্দার পাতার রং গাঢ় সবুজ। কঁচি পাতা সাদটে সবুজ। যৌগিক, বহপত্রক।

রক্ত দুষ্ট হলে :

এক তোলা পরিমাণ কাল্কাসুন্দার পাতার  রস মিসরীর চুর্ণ্সহ সকালে খেলে রক্তদোষ নিবারিতা হয়ে থাকে।

কাশি হলে :

এক তোলা পরিমাষ কালকাসুন্দার পাতার রস এক তোলা পরিমাষ মধুসহ নিয়মিত সেবন করলে পিত্তদোষ সেরে যায়।

কোষ্ঠবিদ্ধাতায় 

কালকাসুন্দার পাতার এক তোলা পরিমাণ গরম পানি সহ নিয়মিত সেবন করলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়।

এছাড়াও এই গাছের পাতা, ফুল, মূল অর্থ্যাৎ সমগ্র গাছ ঔষধার্থে ব্যবহার হয়। যেসব রোগে কালা কাসুন্দে ব্যবহার হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-অরুচী, গলাভাঙ্গা, গলা-বুক জ্বালা, পাতলা পায়খানা, হুপিং কাশি,মূর্ছা, ঘুসঘুসে জ্বর, হাঁপানী এবং শরীরের চাকা চাকা ফুলে উঠা এলার্জি। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে পাতা সিদ্ধকরে অল্প পরিমাণ খেতে হয় অথবা পাতা এবং ফুলের রস ১-২ চা চামচ পরিমাণ খেতে হয়। আবার অনেক সময় মূলের ছাল বেঁটে খেতে হয়।


No comments:

Post a Comment

লাবাং