দাদমর্দন (ইংরেজি: candle bush), (বৈজ্ঞানিক নাম: Senna alata) গুল্ম শ্রেণীর গাছ যা পৌষ্পিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বা ঔষধি গাছ হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজনে বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হয়। ময়লার ভাগাড় কিংবা পরিত্যক্ত স্থানে আপনা আপনিই জন্মে। গাছে কোনো সুমিষ্ট ফল হয় না, কাঠও মূল্যহীন।
আলংকারিক পুষ্পবৃক্ষের জন্যই বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হয়। এরা ক্যাশিয়া জাতের ফুল। ক্যাশিয়ার আরেকটি বুনো জাতের নাম কালকাসুন্দা। পথের ধারে ও পাহাড়ে অঢেল দেখা যায়। দাদমর্দন কখনো কখনো ডোবার ধার, খেতের মধ্যবর্তী আল এবং অনাবাদি স্থানেও জন্মায়।
দাদমর্দন দ্রুত বর্ধনশীল নরম-কাষ্ঠল গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড পুরু ও হলদেটে। ফুল ফোটার মৌসুম সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি। ডালের আগায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার খাড়া ডাঁটায় হলুদ রঙের ফুল নিচ থেকে ওপরের দিকে ফোটে।
সব ছাপিয়ে মানব দেহের জন্য এই গাছের রয়েছে নানাবিধ ঔষধি গুনাগুন। যে তথ্যগুলো হয়তো আপনার কাছে একদমই নতুন। যদিবা জেনে থাকেন তাও হয়তো যথেষ্ট নয়। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক এই মূল্যবান গাছটির ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে।
ঔষধি গুনাগুন
- শরীরে যে কোনো চর্মরোগ দেখা দিলে এই গাছ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।
- দাদ ও পাঁচড়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার্য, দাদ দেখা দিলে দাদমর্দন পাতা থেতলে ২ চার দিন রস লাগালে উপশম হয়। ঝলসানো পাতাও উপযোগী।
- নানাবিধ যৌনরোগের চিকিৎসায় দাদমর্দন গাছের পাতা, বাকল, শেকর সবকিছুই উপকারী।
- বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে এই গাছ সাধারণত টনিক হিসেবে কাজে করে।
- শরীরে মেছতার দাগ বসে গেলে দাদমর্দন গাছের পাতলা বাকল তুলে গরম পানিতে সিদ্ধ করে মুখ ধৌত করে করলে অল্পতেই দাগ দূর হয়।
- হাত পা বা শরীরের যে কোনো স্থানের (সংবেদনশীল স্থান ব্যাতিরেকে) চামড়া পুরে গেলে পরিস্কার পানি দিয়ে ধৌত করে দাদমর্দন পাতা বেটে পোরা স্থানে লাগালে ক্ষত শুকিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment